সারোয়ার হোসেন,তানোর : বাংলাদেশ স্বাধীনের ২বছর পর থেকে গ্রামে গ্রামে বাদাম বিক্রির সাথে হরেক রকমের জিনিস পুটলিতে করে বিক্রি করে চলে গোলেনুর বেওয়ার সংসার। সেই সাথে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে এই বাদাম ও হরেক রকমের জিনিস বিক্রি করে দিয়েছেন ২ ছেলে ও ৫ মেয়েকে বড় করে তাদের বিয়ে সাদী। গোলেনুর বেওয়ার বাড়ি তানোর পৌর এলাকার গোকুল গ্রামে। সে গোকুল গ্রামের মৃত আরশাদ আলীর স্ত্রী।
বর্তমানে গোলেনুর বেওয়ার বয়স ৭০ বছর। বয়স্ক ভাতা পেলেও তা দিয়ে সংসার চালানো ব্যাপক কষ্টকর হয় গোলেনুর বেওয়ার। তাই এই বয়সে এখনো সংসার চালাতে শীতের ভিতরে সকাল সকাল মাথায় বাদাম ও হরেক রকমের মালামাল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন গ্রামে গ্রামে তিনি। গোলেনুর বেওয়ার সাথে কথা বলে জানা গেছে, গোলেনুর বেওয়ার স্বামী দেশ স্বাধীনের কিছুদিন পরেই ঘরে ২ছেলে ও ৫মেয়ে রেখে মারা যান। এতে করে চরম মানবেতর জীবনযাপন হয়ে পড়ে গোলেনুর বেওয়ার সংসার। মাথার উপরে ২ছেলে ও ৫মেয়ের বোঝা দিন দিন আরো বেড়ে করুন অবনতি হতে থাকে।
এতে করে ছেলে মেয়ের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দিতে বাধ্য হয়ে গ্রামে গ্রামে বাদাম ও হরেক রকমের মালামাল বিক্রি করতে নামতে হয় গোলেনুর বেওয়াকে। ফলে বাদাম ও হরেক রকমের জিনিস পুটলি করে বিক্রি করে কোন রকম সংসার চলে যায় গোলেনুর বেওয়ার। গোকুল গ্রামের বেশকিছু মানুষ জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে গোলেনুর বেওয়া অনেক কষ্ট করে পাড়ায় পাড়ায় বাদাম ও হরেক রকমের জিনিস বিক্রি করে সংসার চালিয়ে আসছে। বাদাম ও হরেক রকমের জিনিস বিক্রি করে তার ২ছেলে ও ৫ মেয়েকে বড় করে বিয়েসাদী দিয়েছেন তিনি। এই বয়সে এখনো তিনি পাড়ায় পাড়ায় বাদাম ও হরেক রকমের মালামাল বিক্রি করে সংসার চালিয়ে জীবনযাপন করে যাচ্ছে গোলেনুর বেওয়া।
Leave a Reply